ভ্রমণকাহিনি নয়...
হারিয়ে যাওয়া
ঘুম ভরা
চোখ নিয়ে ট্রেনটা ছুটে যাচ্ছিল দু'পাশের সমস্ত পৃথিবী ছেড়ে। মনে হচ্ছিল দূরের যে
শেষ না- হওয়া রেলট্র্যাক ,তা পেরোতে গিয়ে যদি পথ হারায় আমাদের গাড়ি। খুব মনে হতো
ছোট থেকে যদি ট্রেন ও পথ হারাতো কেমন হতো? কত নতুন নাম না জানা আলাপ বাড়তো। যাচ্ছি
জিম করবেট এর উদ্দেশে। কোচের বাইরের চূড়ান্ত গতি আর কামরার স্থির সংসার দেখে মনে
হচ্ছিল এক মুহূর্তের জন্য মানুষের চেয়ে বেশি ধৈর্য আর কারোর নেই।
ছিন্নমূল
কামরায় যেতে যেতে আলাপ রুদ্রপুরের স্টিফেন বিশ্বাসের সঙ্গে । কাঠগোদাম থেকে মাত্র ত্রিশ মাইল দূরে রুদ্রপুর। বাংলাদেশ থেকে দেশভাগের সময় এখানেই ওঁরা জমি পেয়েছেন। জিজ্ঞাসা করলাম , ইচ্ছে করে না পশ্চিমবাংলায় থাকতে? মনে হয় না বাংলার থেকে বেরিয়ে এইখানে অপরিচিত সমাজে ...
হেসে বললেন , না, মনে হয় না। আসলে দেশ ভাঙার পর জানেন ম্যাডাম মনে করা বা মনে পড়ার কিছুই থাকে না।
স্টিফেন বললেন এখানে খারাপ তো নেই। পাহাড় আছে , মহাদেব আছেন , অরণ্য আছে...
মন খারাপ করে না স্টিফেনবাবু?
নাহ্ ,এখানে আমরা ফ্যাশন করে বলি না- আমার ছেলেমেয়েরা বাংলা ঠিক বলতে পারে না! ওরা আঁচড় খায়নি ভাগের, আমরা ভাগের মা, গঙ্গা পাইনি। আমাদের ছেলেমেয়েদের অভাব কী জানেন ওদের আমরা মা হতেই শেখাইনি!
গঙ্গা
হরিদ্বার নেমেই রাতের গাড়িতে কাঠগোদাম। মাঝে ঘন্টাদুই বিশ্রাম। সবাই তাতেই নাওয়া খাওয়া ভুলে হর কি পৌরিতে। আমি হোটেলে বসে। এইটুকু সময়ে আর যাই হোক ঘাটের আরতি দেখে দাবি করা যায় হাজিরাখাতার। এই দেখ আমি ওখানেও গেছিলাম। কত বাঙালি এরকম দু মিনিটের উপস্থিতি পালন করে দেখেছি বহুবার। আমি তো সেই জটাধারী শিবের কাছে বসে থাকা মা কে ছুঁতেই পারবো না। তাই গেলাম না। পরে আসবো এখানে। পোকামাকড়ের আকর্ষণের মতোই প্রদীপের আলোয় একটুকরো উৎস নিয়ে বাড়ি ফিরব।
ছিন্নমূল
কামরায় যেতে যেতে আলাপ রুদ্রপুরের স্টিফেন বিশ্বাসের সঙ্গে । কাঠগোদাম থেকে মাত্র ত্রিশ মাইল দূরে রুদ্রপুর। বাংলাদেশ থেকে দেশভাগের সময় এখানেই ওঁরা জমি পেয়েছেন। জিজ্ঞাসা করলাম , ইচ্ছে করে না পশ্চিমবাংলায় থাকতে? মনে হয় না বাংলার থেকে বেরিয়ে এইখানে অপরিচিত সমাজে ...
হেসে বললেন , না, মনে হয় না। আসলে দেশ ভাঙার পর জানেন ম্যাডাম মনে করা বা মনে পড়ার কিছুই থাকে না।
স্টিফেন বললেন এখানে খারাপ তো নেই। পাহাড় আছে , মহাদেব আছেন , অরণ্য আছে...
মন খারাপ করে না স্টিফেনবাবু?
নাহ্ ,এখানে আমরা ফ্যাশন করে বলি না- আমার ছেলেমেয়েরা বাংলা ঠিক বলতে পারে না! ওরা আঁচড় খায়নি ভাগের, আমরা ভাগের মা, গঙ্গা পাইনি। আমাদের ছেলেমেয়েদের অভাব কী জানেন ওদের আমরা মা হতেই শেখাইনি!
গঙ্গা
হরিদ্বার নেমেই রাতের গাড়িতে কাঠগোদাম। মাঝে ঘন্টাদুই বিশ্রাম। সবাই তাতেই নাওয়া খাওয়া ভুলে হর কি পৌরিতে। আমি হোটেলে বসে। এইটুকু সময়ে আর যাই হোক ঘাটের আরতি দেখে দাবি করা যায় হাজিরাখাতার। এই দেখ আমি ওখানেও গেছিলাম। কত বাঙালি এরকম দু মিনিটের উপস্থিতি পালন করে দেখেছি বহুবার। আমি তো সেই জটাধারী শিবের কাছে বসে থাকা মা কে ছুঁতেই পারবো না। তাই গেলাম না। পরে আসবো এখানে। পোকামাকড়ের আকর্ষণের মতোই প্রদীপের আলোয় একটুকরো উৎস নিয়ে বাড়ি ফিরব।
আতিথেয়তা
কাঠগোদাম পৌঁছতে মনে হল পৃথিবীর কোনো একটা দেয়ালে এসে ধাক্কা খেলাম। শান্ত একটা হাত যেন জল, মিষ্টি দিয়ে বসালো। এখানে এসে মনে হল একবার যদি সব সুখ আর দুঃখ জ্বালিয়ে দিতে পারতাম পাতা পোড়ানোর মতো তবে হয়তো জমির সঙ্গেই সহজ ভাবেই মিশে যেতে পারতাম। এখন কামনা দেখতে দেখতে ভাস্কর মনে পড়ে। কখনো আমরাও প্রেমিক ছিলাম।
দারিদ্র্য
জঙ্গলে ঢুকতেই মনে হল দু 'পাশের গাছেরা ডাকছে। এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতার মধ্যেই ব্যস্ত ভাবে তারা দেখছে আমাকে শিশুর মতো। একটা সদ্য ঝরা ফুলের গন্ধ দেখতে দেখতে তারা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে ওঠে, আমাদের ফুল ফল বড় দুর্ভাগা। মৃত্যুর আগেই ওরা সুন্দরী হয়ে ওঠে।
জঙ্গলে ঢুকতেই মনে হল দু 'পাশের গাছেরা ডাকছে। এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতার মধ্যেই ব্যস্ত ভাবে তারা দেখছে আমাকে শিশুর মতো। একটা সদ্য ঝরা ফুলের গন্ধ দেখতে দেখতে তারা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে ওঠে, আমাদের ফুল ফল বড় দুর্ভাগা। মৃত্যুর আগেই ওরা সুন্দরী হয়ে ওঠে।
শৈশব
আমাদের সঙ্গে এসেছিলেন এক মহিলা। বড় অধৈর্য তিনি। তাঁর শুধু- এটা করলে তাড়াতাড়ি হবে, ওটা হলেই ভালো ছিল! আমাদের তরুণ মনে রাগ জমছে। উঠতি বয়সের অস্থিরতা আর কী। হঠাৎ এক দাদা বললেন প্রকৃতির কোলে উনিই সবথেকে কনিষ্ঠ শিশু। তার মুখের গ্রাম্য সারল্য ফুটিয়ে তুলছিল একটা গোটা বাংলা। রাত জেগে জাল পেতে মাছ ধরা , ধানজমির মাঝখান থেকে চিংড়ি খুঁজে নুন আনতে পান্তা ফুরনো সংসারে তরকারির উল্লাস জমা করার অধ্যবসায় শুনে মনে হয় মানুষ জ্ঞানী হলে পাপী হয়ে যায়। মেছো আঁশটে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে জীবনভর। শিশুরা সেজন্যই আঁশ এবং নিরামিষের ঊর্ধ্বে।
সতী
নৈনিতাল
লেকের মধ্যে এসে যে পাহাড় নত হচ্ছে তাকে দেখে মনে হচ্ছে কে যেন স্নান সেরে নিচ্ছে
বহুদিন পর। এত বরফ ঠান্ডা অভিমান মহাদেবের... পারের নয়না দেবী মন্দির সতীর
একান্নপিঠের একটি। চলে যাওয়ার আগে যে আগুনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন মহাকালের প্রেমিক তা
মেনে নেননি। তাই হিমশীতল সুদীর্ঘ নীরবতার পারে পুজো দিতে দিতে দেখি এখনো কৈলাসের
পথে নিজেকে একলা করে নিচ্ছেন নীলকন্ঠ!
সুন্দর
কোশি নদীর কাছে হোটেলের উল্টোদিকে ঘন জঙ্গল। সকালে বা ঘন সন্ধ্যের বাড়বাড়ন্তিতে কাতর হরিণেরা তৃষ্ণায় এগিয়ে আসত। অন্ধকারে তাদের চোখ দিয়ে সব জলটুকু জঙ্গল পান করতো। অন্ধকারে সবথেকে যে একলা তার জন্যে একটা চাপা কষ্ট জমতো। বাঘের জলছাপ থেকে নদী যেন বুঝতো, ভয় পেতে পেতে সমাজ কেমন একঘরে করেছে সুন্দরকে!
মন্ত্রবল
সারাদিনের ঘোরাঘুরির মাঝে পা কেটে গেছিল। জঙ্গলের মধ্যে নেই কোনো ওষুধ। নয় কিমি দূরে জঙ্গলের বাইরে ভয় জমা করে বুকে গাড়িতে যেতে হবে। চারিদিকে এক ভয়ংকর নিস্তব্ধতা। দুপাশে গভীর মনোযোগে সবুজ প্রাচীন সন্ন্যাসী মন্ত্রোচ্চারণ করছেন। যেন ওঁ এবং ওঁ মণিপদ্মে হুম , এই দুটি ধ্বনি মিলেমিশে ছারখার করছে ভার হয়ে আসা বায়ুমন্ডল । ছোট থেকে সবাই বলতো প্রার্থনার গাম্ভীর্য পবিত্র করে মন। তবে এ পবিত্রতা যার কাছে যেমন। খোলা হুড তোলা গাড়িটার মধ্যে মনে পড়ছিল এই মন্ত্র মেশানো প্রিয় মানুষের কথা,বাড়ি ফেরার কথা। ভয় জমেছিল যদি থেমে যায় চাকা। এই অন্ধকারে প্রকৃতির বিকৃত সৌন্দর্য নেড়াপোড়ার মতো পুড়িয়ে দেবে নীরবতা। পুজোর প্রসাদ পড়ে থাকবে আশ্বাস নাম নিয়ে ঘরের কোণে। আমাদের চাহিদার নাম কে প্রার্থনা বলে সেখানে রেখে দিলে গভীর রাতের বাঁদরের চেঁচামেচি আর বাদুড় ঘোষণা করছে তাদের সরব আশীর্বাদ। নদীর ও ভয় করে একলা জঙ্গল দিয়ে বইতে।
সারাদিনের ঘোরাঘুরির মাঝে পা কেটে গেছিল। জঙ্গলের মধ্যে নেই কোনো ওষুধ। নয় কিমি দূরে জঙ্গলের বাইরে ভয় জমা করে বুকে গাড়িতে যেতে হবে। চারিদিকে এক ভয়ংকর নিস্তব্ধতা। দুপাশে গভীর মনোযোগে সবুজ প্রাচীন সন্ন্যাসী মন্ত্রোচ্চারণ করছেন। যেন ওঁ এবং ওঁ মণিপদ্মে হুম , এই দুটি ধ্বনি মিলেমিশে ছারখার করছে ভার হয়ে আসা বায়ুমন্ডল । ছোট থেকে সবাই বলতো প্রার্থনার গাম্ভীর্য পবিত্র করে মন। তবে এ পবিত্রতা যার কাছে যেমন। খোলা হুড তোলা গাড়িটার মধ্যে মনে পড়ছিল এই মন্ত্র মেশানো প্রিয় মানুষের কথা,বাড়ি ফেরার কথা। ভয় জমেছিল যদি থেমে যায় চাকা। এই অন্ধকারে প্রকৃতির বিকৃত সৌন্দর্য নেড়াপোড়ার মতো পুড়িয়ে দেবে নীরবতা। পুজোর প্রসাদ পড়ে থাকবে আশ্বাস নাম নিয়ে ঘরের কোণে। আমাদের চাহিদার নাম কে প্রার্থনা বলে সেখানে রেখে দিলে গভীর রাতের বাঁদরের চেঁচামেচি আর বাদুড় ঘোষণা করছে তাদের সরব আশীর্বাদ। নদীর ও ভয় করে একলা জঙ্গল দিয়ে বইতে।
তবুও
বছরভর পাথর বুকে চলছে সে। অন্ধকারে যখন বাঘের দুটো চোখ জ্বলছে তখন সবথেকে বেশি একা
লাগছে ওর নিজের। পিছনে গাড়ির হেডলাইটে ফেলে যাচ্ছিলাম আমাদের বিপদ । ফেলে
যাচ্ছিলাম বাঘের কাছে... শান্ত গলায় দু পাশ থেকে কেউ বলছিল, ফিরে যেতে হলে পিছো
ফিরে তাকিয়ো না কারণ জঙ্গল একটা অন্ধকার চিতা। ফিরে আসতে ইচ্ছুক যারা তারা মায়া
ত্যাগ করেছে বহু আগেই ...
সিনেমা
জঙ্গলে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম একদিন। ওই সাফারি আর কী। ড্রাইভার মানুষটি এতো কথা বলতে ভালবাসেন এবং সঙ্গের লোকজন এতই আমুদে যে দেখলাম বাঘ বলতে এঁরা সলমন বোঝেন , হরিণ বলতে সিমরন। জীবন এখানে চুপ করে থাকে তবে আমরা বড়োই বেমানান। শুকিয়ে যাওয়া নদীখাতে যে হরিণগুলো ঘুরছিল তাদের ছবিটুকুই সার। দেখার মধ্যে মন্দিরে যাদের দর্শন পাই সেই প্রাণীরা এখানেও বহালতবিয়েতে বিরাজমান। একগাদা পায়ের ছাপ দেখে ফিরে এলাম। মনে হচ্ছিল যেন জঙ্গলে যেন হাট বসেছে। কিন্তু আজ শুক্রবার না...
জঙ্গলে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম একদিন। ওই সাফারি আর কী। ড্রাইভার মানুষটি এতো কথা বলতে ভালবাসেন এবং সঙ্গের লোকজন এতই আমুদে যে দেখলাম বাঘ বলতে এঁরা সলমন বোঝেন , হরিণ বলতে সিমরন। জীবন এখানে চুপ করে থাকে তবে আমরা বড়োই বেমানান। শুকিয়ে যাওয়া নদীখাতে যে হরিণগুলো ঘুরছিল তাদের ছবিটুকুই সার। দেখার মধ্যে মন্দিরে যাদের দর্শন পাই সেই প্রাণীরা এখানেও বহালতবিয়েতে বিরাজমান। একগাদা পায়ের ছাপ দেখে ফিরে এলাম। মনে হচ্ছিল যেন জঙ্গলে যেন হাট বসেছে। কিন্তু আজ শুক্রবার না...
টোকাটুকি
ফিরে আসার দিন ট্রেনে আলাপ রাহুলবাবুর সাথে। থাকেন উত্তরপ্রদেশে। কথা প্রসঙ্গে বুঝলাম ইনিও পরিযায়ী। প্রথমে মালপাঁচকানগিরি ঊড়িষ্যার- সেখানেই জমি পেয়েছিলেন। মধ্যপ্রদেশ , ঝাড়খন্ড আর ওড়িশা মিলে প্রায় সাঁইত্রিশ হাজার একর জঙ্গল। সেখানে ফসলাদি ভাল হয় না তাই অর্ধেক বাঙালি উত্তরপ্রদেশ কিংবা উত্তরাখণ্ডে চলে আসেন। সেখানে ভালুকের বড় উৎপাত গবাদি পশু প্রায়ই উধাও। যারা মুরগি বা ছাগল ঘরে রেখে ঘুমোন তারা নাকি রাতে ভালুককে নিজে হাতে দরজা খুলে ঘর থেকে নিয়ে যেতে দেখেছেন। ঝামেলা করলে ভালুক তখন মানুষটাকেই নিয়ে যায়। এসব মানুষে করে জানতুম। এবার বুঝলাম ভালুকেরাও এর বাইরে নয়।
ফিরে আসার দিন ট্রেনে আলাপ রাহুলবাবুর সাথে। থাকেন উত্তরপ্রদেশে। কথা প্রসঙ্গে বুঝলাম ইনিও পরিযায়ী। প্রথমে মালপাঁচকানগিরি ঊড়িষ্যার- সেখানেই জমি পেয়েছিলেন। মধ্যপ্রদেশ , ঝাড়খন্ড আর ওড়িশা মিলে প্রায় সাঁইত্রিশ হাজার একর জঙ্গল। সেখানে ফসলাদি ভাল হয় না তাই অর্ধেক বাঙালি উত্তরপ্রদেশ কিংবা উত্তরাখণ্ডে চলে আসেন। সেখানে ভালুকের বড় উৎপাত গবাদি পশু প্রায়ই উধাও। যারা মুরগি বা ছাগল ঘরে রেখে ঘুমোন তারা নাকি রাতে ভালুককে নিজে হাতে দরজা খুলে ঘর থেকে নিয়ে যেতে দেখেছেন। ঝামেলা করলে ভালুক তখন মানুষটাকেই নিয়ে যায়। এসব মানুষে করে জানতুম। এবার বুঝলাম ভালুকেরাও এর বাইরে নয়।
মোহ
ফিরে আসার সময় ভাবছিলাম কী হবে যদি থেকে যাই এখানেই। প্রতিবার মনে হয় এরকম। নেশা অনেকটা খাদ্য খাদক সম্পর্ক। বাঘের হরিণের প্রতি , চিতার গতির প্রতি , গাছেদের একা হওয়ার প্রতি। জঙ্গলের নেশা নিয়ে যে মাতলামো তা এক এক সময় প্রেমিককেও দূরে সরিয়ে দেয়। একবার ভেবেছিলাম যদি মিশে যেতে পারতাম এই থমথমে চরাচরে খুব কী কিছু বদলানো?
সুন্দর লেখা। জায়গায় জায়গায় কবিতার মত। বাঃ!
ReplyDelete