যা বলেছি গেরিলাক্যাম্পে
: এই পাখিটির নাম শুনেছেন! অবিশ্বাস্য লাগে।
যেন অ্যসাইলামের দিকে রোদ
পড়ে আসে
: যেমন বানানো পাগল, সিনেমায় … ক্লাইম্যাক্সের
আগে যার জ্ঞান ফিরে আসে … সেই ভূমিকায় ফুটে আছে আমার চেতনা
: কী ভাবে সম্ভব?
: ডিক্টেটরশিপ, বরফপাতের দিন আর এই পাখিটির
অনির্বচনীয় ডাকের মধ্যে এক গূঢ় সংযোগ আছে। প্রথমোক্ত দু’টির অন্তে এক মার্চের
দুপুরবেলায় এই পাখি গান গেয়েছিল। সেই গান এক সোনালী-চুলের কিশোরীর স্তনবিভাজিকা বেয়ে নেমে
গিয়েছিল শান্ত নাভির মত হ্রদটির দিকে
: আপনার অতিশয় যৌনচেতনা …
: আরও শুনে রাখা ভালো। যখন সন্ধেবেলায় আমাদের বাধ্যতামূলক
শিল্পশিবির ঘটে; ধাতবফুলের গর্ভের দিকে
ছুটে যায় সুনিয়ন্ত্রিত বিদ্যুতরেখা – শতদল ফোটে। কী ভাবে দলমন্ডল খোলে শিখি। শিখি শৃঙ্খলামোচণের রীতি। ডিসিপ্লিন্ড পেটালস-সমূহের শৃঙ্খলাবোধ। কিন্তু গোপনে, যতবার শতদল ফোটে
– ধাতবফুলের কোঁৎকার – শকথেরাপির সমনাম প্রায়
- আমাকে জাগ্রত করে তোলে
: আপনার মনবিকলন গভীরে প্রোথিত
: ভুল। যেহেতু ডিক্টেটরের দিন, তাই সেই পাখি আর আকাশে ওড়ে না। আমার বুকের মধ্যে ঢুকে একা একা গান গায়। আমি সেই গান ঢেলে দিতে চাই পুংদন্ডের
কানে। প্রতিটা রাত্রে তাই ধনুকের মত বেঁকে যায় আমার শরীর। আপনার শিল্পশিবিরের বিদ্যুত আর আমার
যৌনচেতনা মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ
: ফায়ারিং স্কোয়াড আপনার কপালে নাচছে
: শতফুল ফোটে; শুধু অন্ধের চক্ষু ফোটে না
আমেন … আমেন
আয়ু
‘বিষদাঁত ভুলে যায়; শুধু সাপ চলে যাওয়া পথ
মনে রাখে স্নায়ু’
ভাষ্য
কাটা লেজ নিয়ে এরপর আমাকে ঘুরতে হবে
বনে বনে। ভাঙ্গা দেয়ালের খোপে। ঝরাপাতাদের বিষাদ পেরিয়ে।
ক্ষত শুকোবার আগে
দাঁত ও জিভের শত্রুতার জেরে – না রক্তপাতের আর সম্ভবনা নেই –
ঘা শুখাবে না শুধু – আমিও জেনেছি
রক্তপাত ছাড়া বিবাহের পূর্ণতা নেই। আমিও বুঝছি
এই কাটা লেজ থেকে টপটপ ঝরে পড়া ফোঁটা
তোমাদের ঘরের মেঝেয় একদিন অন্ধকারে
ফুটিয়ে তুলবে ছোট ছোট বিষনীল সন্দেহের ফুল
No comments:
Post a Comment