নরখাদক
শাল জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে
বাঘ
জল চায়,উচ্ছিষ্ট হরিণ তার সমস্ত রাতের কারসাজি
জানে,পঙক্তি ভোজনে নরম পানীয় ঢেলে দিয়ে
ভোজসভা শেষ হলেই বিদায়।
অকৃতজ্ঞ বর্ণমালার ধাঁচে
ফিরে আসে শোক
লোক মুখে প্রচার হয় নরখাদকের বেহায়া উল্লাস।
সঙ্গম
রাতের হিংস্র হায়েনার লকলকে জিভ
পাতা খায় ,ধোঁয়া খায়
বিবর্ন বুক থেকে উড়ে যাবার আগে সম্ভোগ
এক তৃষ্ণা এক ঘুমের সঙ্গম
মৃত মাছের বেহায়া হাঁচির সাথে রক্ত মল ভাগ করে
উঠোনে নাচে ঘ্রাণ
নপুংসক দু একটি পাতার থেকে ছিনিয়ে নেবে গ্রাস
গরম তরল ঢালতে গিয়ে ফোস্কা পড়া রুটির আদলে
বদলে যাবে গ্রাম
বিষণ্ন ল্যাম্পপোস্টের আদর খেতে খেতে বয়ে যাবে নদী
আমায় উলঙ্গ করো বৈদেশিক চর
আমার জ্বালা করছে।
জঙ্গল
মহুলের ফুল আর ফল
জিন্সের প্যান্ট খুলে যুবককে আটক করেছে গ্রাম
ফুল তুলেছে টুকেছে ফুলেদের ঘাম
কুড়িয়ে রেখেছে ঘুম
এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন শ্রীলেখা
বন্ধুত্বের সম্পর্ক চুলগুলোকে এলোমেলো করে দেয়
নজরবন্দি ভালোবাসার ঘর থেকে ফুল তুলে নিয়ে যুবক উধাও।
গনগনি পেরিয়ে এক আঁচলা ফুল
শিলাবতী থেকে এক আঁচলা জল
একতাল মাটি মাটির বিমূর্ত ধুন
ধুনি জ্বালিয়ে বসে আছে খোয়াই কাঁকরে।
সে যুবক আর ফেরেনি
তার পায়ের ছাপ ছড়িয়েছে পোড়া জনঅরণ্যে।
রক্ত
ভালোবাসার লবনাক্ত হ্রদে পদ্মফুল
পাপড়ি থেকে খুঁটে খায় সোমত্ত মন
আঁচ লাগে কাঁটা ফোটে
গিলে খায় অর্ধচূর্ণ শরীরের নড়বড়ে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ
জ্বালামুখ খুলে খায় ওম
মোক্ষম মলাটের ডিম্বাণু থেকে উড়ে আসে হাঁস
নির্লজ্জ রাজপথের নোংরা আঁচড়ে
রক্তপট চৌকো হতে গিয়ে গড়িয়ে যায়
কুণ্ডলী পাকানো রক্তস্রোত থেকে
জন্ম নেয় এক একটি ঝিনুক
জন্ম হয় বেজন্মা মুখশ্রীর
যা গবেষণার বিষয় হয়ে দাড়ায় সমস্ত পৃথিবীর।
মুখ
নরম হতে হতে আহত মুখ খুলে দিচ্ছে দাঁত চোখ কান নাক
,চোখা বিবৃতি খাম খুলে এগিয়ে দেয় জল
উল্টোপথে সময় ঘোরে,
মুখের উপর মুখ তার উপর মুখ ঢেকে
আলোকশিখা জানে গরদের রঙ
জীবাশ্ম ঢেকে ছাই ওড়াই
মুখ পোড়ে মুখ হাসে
আমি তবু খুঁজে চলি সূর্যমুখী ফুল।
অপূর্বদৃষ্টি
ReplyDelete