অভিমান সংশোধন
সেই কবে থেকে ন্যাপথালিনে মুড়ে স্বচ্ছন্দে
গুছিয়ে রেখেছি
পোকামাকড়ের এতটুকু ন্যোংরা হাতগুলো
স্পর্শ করে নি
এক একটা পাট অবিকল সেই
দিনের মতো রয়েছে
বুঝতে দীর্ঘ নয়টি বছর বেগ পেতে হল
সময় গুলো মাধে মধ্যে আয়না বাড়িয়ে দিত
ভয় পেতাম , যদি নিজের মুখাবয়ব সহ্য করতে না পারি
আবার মনে হয় ভয়ঙ্কর
দাঁত দেখে যদি সব ভুলে যায়
নিজের নিষ্ঠুরতার কাছে যেতে ভয় পায়
সেজন্য আমি কখনো স্বচ্ছ জলের আধারে
তাকাই না
কোনো ভাবে জড়িয়ে রাখার জন্য হিম ঘর
নির্মান করেছিলাম
কালো রং , ধূসর ব্যথা , আর চোরা
ঘুলঘুলি –
সব আমার মধ্যে ছিল । তোমার আওয়াজ ছিল না
হয়তো বা ছিল , শুনতে পায় নি । আমি তো বধির
অভিনয় ভেবো না , এভাবে তাকিয়ে থাকার কারন নেই
পাঁচ এবং আর পাঁচটি আঙুল বাড়িয়ে দাও
ভুলে যাও ন্যাপথালিন ঢাকা গন্গনে
ছাই
চিৎ হয়ে থাকা বুকের হৃদপিন্ডের ঠিকানায়
এসো
সোহাগ দেবো
, আর সমস্ত ইচছাকে নিমন্ত্রণের ডালা পাঠাবো…
No comments:
Post a Comment