Saturday, May 5, 2018

অশরীরি রাম : পম্পা দেব


                     


                        অশরীরি রাম

অথর্ববেদ অনুযায়ী 'রাম' শব্দের অর্থ  (contextual ) মূলত দু’টি । একটা হলো ' কৃষ্ণবর্ণ ' বা 'কালো', 'রাত্রি'। অন্যটিতে বিভিন্ন বৈদিক সাহিত্যে এর অর্থ 'মুগ্ধকর, 'মনোরম , 'আনন্দময়'। বৈদিক সাহিত্যের প্রথম নাম 'রামা' বা 'রাম 'আদি দুটি গোত্রনাম অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিদের বর্ণনা করে । প্রাচীন সাহিত্যে রাম বা রামা উচ্চমার্গীয় অর্থে পাওয়া যায় নির্দিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে । 
প্রথমত পরশুরাম, বিষ্ণুর ষষ্ঠ  অবতার ( ঋগ্বেদ )।
দ্বিতীয়ত রামচন্দ্র । বিষ্ণুর সপ্তম অবতার । প্রাচীন রামায়ণ মহাকাব্যের নায়ক। 
তৃতীয়ত বলরাম । শ্রীকৃষ্ণের জ্যেষ্ঠভ্রাতা। 
রামায়ণের আবির্ভাব ত্রেতা যুগে। মহাকবি বাল্মীকির সৃষ্টি । 28000 শ্লোক। সাতটি খন্ড, পাঁচশ উপখন্ড। 
তুলসীদাসের রামায়ণ মূলত ভক্তিবাদী । কৃত্তিবাসী রামায়ণ আদি সংস্কৃত রামায়ণেরই বর্ণনা । মধ্যযুগের সমাজ ও সংস্কৃতির  বিস্তারিত আখ্যান । Bengali social life & its values.  সাধারণ ভাবে পূর্ব ভারতের উত্তরাংশ এবং নেপালে ,  উত্তর নগরকেন্দ্রীক সময়ের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল হলো রামায়ণের বিস্তার । হিন্দু পুরাণে কথিত আছে রামচন্দ্র দেবতাদের দক্ষিণায়নের সময় অর্থাত বিশ্রামের সময় দেবী দুর্গার আরাধনা করেছিলেন । 
তাই তা অকালবোধন । সেই ইস্তক দুর্গাপূজার এই প্রচলন। কোশলরাজ  দশরথ তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী রাণী কৈকেয়ীর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন  যে প্রথম সন্তান, পুত্র রামচন্দ্র চোদ্দো বছরেরজন্য  বনবাসী হবে । সঙ্গে গেলেন স্ত্রী সীতা। মিথিলার  জনক দুহিতা । আর ভ্রাতা লক্ষ্মণ । এই বনবাস কালীন সময়ে লঙ্কারাজ রাবণের দ্বারা সীতাহরণ। শূর্পনখার প্রতি লক্ষ্মণের অবিচার, নাসিকা কর্তন ইত্যাদির সূত্রে ।
বালি আর সুগ্রীবের সাথে মোলাকাত । হনুমান সহায়তায় সেতুবন্ধন করে লঙ্কারাজ রাবণের সাথে যুদ্ধ এবং সীতা উদ্ধার পর্ব । এই অবধি কাহিনী এসে বাঁকবদল করে। উত্তরাখণ্ডে এসে দেখা যাচ্ছে রামচন্দ্র 
জনমানস রঞ্জন হবার প্রলোভনে নিজ  স্ত্রীর চরিত্র চর্চায় যুক্ত হয়েছেন। বারে বারে অগ্নিপরীক্ষা করেছেন । সীতার মতো নারীকে যিনি স্বামীর সঙ্গ ছাড়েননি এমনকি দীর্ঘদিনের বনবাসেও। রামচন্দ্রের সুবিধার্থে নিজের স্বর্ণালঙ্কার ছড়াতে ছড়াতে গেছেন। সেই স্ত্রীর প্রতি প্রশ্নাতীত ভাবে সন্দেহপ্রবণ রামচন্দ্র তাকে বিশ্বামিত্রের আশ্রমে রেখে আসেন। সেখানে সীতা সন্তান সম্ভবা হন এবং যথারীতি রামচন্দ্র জনতার প্রভাবে আবারও সন্দেহ প্রকাশ করেন । আশ্রমে সীতা দুই  যমজ  পুত্রের জন্ম দেন। তারাই যথাক্রমে লব এবং কুশ। অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজনে রাজসভায় উপস্থিত হয় লব ও কুশ। সঙ্গে ছিলেন ঋষি বিশ্বামিত্র যিনি এই পুরো কাহিনী, ঘটনা বর্ণনা সঙ্গীতের মাধ্যমে তাদের  শিখিয়েছেন। লব কুশ গাইলেন পৃথিবীর আদি শ্লোকনন্দিত গান। রামচন্দ্রের সম্বিত ফিরল সহসা। সীতাকে স্মরণ করলেন , আনয়ন করলেন রাজসভাস্থলে। কিন্তু সীতা স্মরণ করলেন ভূমীকে, মাতাকে। প্রবেশ করলেন পাতালে। চিরতরে। এরপর এক  দেবদূত রামচন্দ্রকে দেবতাদের নির্দেশ জানালেন। এই মর্ত্যে তার কর্মকাণ্ড ফুরিয়েছে, তিনি আবার অবতার রূপে ধরিত্রীতে আবির্ভূত হবেন। এবং তিনি স্বর্গে প্রস্থান করলেন। এই হলো সারসংক্ষেপ । এখন কথা হলো রামায়ণের এই কাহিনীতে আমরা মোটেই রামচন্দ্রকে বীরপুরুষ বলে ভাবতে পারিনা। যিনি নিজের রাজসিংহাসন টিকিয়ে রাখার জন্য পতিব্রতা স্ত্রীর প্রতি নিষ্ঠুর হন। বিচার বিবেচনাহীন হন। শূর্পনখার নাসিকা কর্তন থেকে বালি হত্যা,  ইন্দ্রজিত বধ অবধি রামায়ণের রামচন্দ্রের ভাবমূর্তি আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে । অনৈতিকতার দায়ভার বর্তায় তার ওপর । আর বারংবার স্ত্রীর প্রতি সন্দেহ প্রবণতা, পরীক্ষা মূলক স্বীকৃতি দেওয়ার রীতি 
রামচন্দ্রকে পরিচ্ছন্ন, ন্যায়পরায়ণ মান্যতা দেয় কিনা সেই প্রশ্ন তো আছেই । তবুও আদি মহাকাব্যের নায়ক কে সাধারণ মানুষ যুগ যুগ ধরে পূজা করে আসছেন। 
উত্তর থেকে দাক্ষিণাত্যের দিকে বিস্তৃত হতে হতে গাঙ্গেয় বঙ্গের অববাহিকায় রামায়ণের বিস্তার । কৃত্তিবাসী রামায়ণের ছন্দে ছন্দে । শ্লোকে শ্রুতিতে , বর্ণনায়, আখ্যায়িত । পূজিত । আরাধ্য । বঙ্গ হৃদয়ে তিনি ' নব দূর্বাদল শ্যাম '। কাব্যে মথিত । তবে কিনা 
এইসবই এই বিশ্বাসে যে তিনি ঈশ্বর । তিনি পুরাণের 
রূপকথার এক মানস। তার মাথার পিছনে দৈব আলোর ছটা। ভক্ত জনমানসে তিনি পূজিত ঈশ্বর ।
তার আবির্ভাব, বিস্তার ,স্থিতি সবটাই কল্পনা আর কাব্যের মিশেল।
আদি কবি বাল্মীকি, যিনি রামায়ণ রচনা করেছিলেন, তিনি ভৃগু শিষ্য প্রচেতের পুত্র । এখন হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী রামচন্দ্র সরযূ নদীর তীরে অবস্থিত অযোধ্যায়( উত্তর ভারত ) জন্মেছিলেন ।  হিন্দুদের একাংশের দাবি যে মুঘল আক্রমনে ধ্বংস হয়ে যাওয়া রাম জন্মভূমিতে পরবর্তীতে মসজিদ নির্মিত হয়। উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে 1528 - 29 সাল থেকে বাবর , মীর বাকীর হাত ধরে যে মসজিদ গড়েউঠেছিল, হিন্দুদের দাবি মতো সেখানেই আসলে রামমন্দির ছিল, যা মোঘল আমলে ধ্বংস করে মসজিদ নির্মিত হয়েছে ।  নবাব ওয়াজেদ আলী শাহর সময়, 1853 সালে এখানেই হিন্দুদের একাংশের অভিযোগনবাব ওয়াজেদ আলী শাহর সময়ে 1853 সালে হিন্দুদের একাংশ নির্মোহীরা দাবি করে মোঘল সম্রাট বাবরের সময়ে ঐ স্থানে হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ নির্মিত হয়েছে,  এই অযোধ্যায়। ক্রমে ক্রমে 
1859, 1885 , 1949, 1950, 1959,1961, হয়ে 1984 সালে অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানে হিন্দু গোষ্ঠীর 
তরফেও একটি কমিটি গঠন করা হয়। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হয়। ক্রমে সেই আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। অবশেষে 1986 , 1989, 1990 , 1991, হয়ে 1992 সালের 6th December করসেবকদের 
উত্থান, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, শিবসেনা, ভারতীয় জনতা পার্টির প্রবল নেতৃত্বে ভারতবর্ষের ইতিহাসে আরেকটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে । বিচারপতি এম এস লিবারহানের নেতৃত্বে নরসীমা রাও সরকার অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে । আর্কিওলজিকাল সার্ভের তত্বাবধানে ।
আমরা রামায়ণ থেকে ঘুরে ঘুরে করসেবকদের হাতে এসে দেখি ভারতবর্ষের প্রাচীন মহাকাব্যের নায়ক রামচন্দ্র আজ অসহায়। উৎস থেকে ভেসে আসা পুরাণ কথকতার ভেতর থেকে ক্লান্ত, ক্লিষ্ট, ভঙ্গুর রামচন্দ্র । সাহিত্যের প্রেক্ষিতে তার জন্ম । গ্রীক পুরাণের মতোই ভারতবর্ষের পুরাণ প্রাচীন ও মহাকাব্যিক। যদিও রামায়ণের কথামালা শিশুপাঠ্যেই তাকে ভাল লাগে । ভিতরকার দ্বন্দ্বসমাস , নীতিগত অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ালে অন্য চেহারাটা প্রকট হয়ে ওঠে । সাহিত্য আর ইতিহাস কাছাকাছি আবছা রেখায় অবস্থান করে । তথাপি রামচন্দ্র কোনোভাবেই 
সরাসরি শরীরী নন। ধরা ছোঁয়ার নন, প্রত্যক্ষ করা যায়না । তার বিচরণ, অস্তিত্ব সাহিত্যেই। সেই আদি কবি বাল্মীকির কলমে , যিনি দস্যু রত্নাকর থেকে বাল্মীকি হয়ে উঠেছিলেন । সমাজ , সংস্কৃতি, ধর্ম, গার্হস্থ্য, রাজনীতির আখ্যান এঁকেছিলেন । হায় সভ্যতা। মৌলবাদী হিন্দুরা তাকে টেনে নামিয়েছে বাজারে। বিপন্ন রামচন্দ্র কী ভাবেন । তার রচয়িতা যিনি প্রথম শ্লোকটি লিখেছিলেন একটি হিংসার বিরুদ্ধে আবেগ মথিত হয়ে । 
"মা নিষাদ প্রতিষ্ঠা ত্বমগম: শাশ্বতী: সমা:।
য়্বত্ক্রৌন্ঞ্চমিথুনাদেকম্ অবধী: কামমোহিতম্ ।।"
হায়  ঋষি  বাল্মীকি, হায় শ্রারীমচন্দ্র , হায় রাম।
গো-বলয়ের খামারে আবদ্ধ রাম আজ বিপন্নতা থেকে  বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে । প্রাদেশিকতা , আন্ঞ্চলিকতার বিবমিষা , কপালে ঠেকানো ধর্মের বন্দুক, তুমি রামু নাকি রহমান, তুমি গো-মাংসাশী নাকি ছাগল (...?) , তুমি হিজাব নাকি গেরুয়া? তুমি কাটা নাকি নয়? তুমি হনুমান চল্লিশা নাকি নামাজ? 
তুমি সংখ্যালঘু, আমি গুজরাত, আমি সিবিআই,  আমি রাম জন্মভূমি, আমি বিজয়রথ , আমি আর্য, আমি গৈরিক, আমি ত্রিশূল, আমি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, আমি দিল্লী, আমি বজরং , আমি সুপ্রিম,  আমরা উচ্চবর্ণ, আমরা মাথায় ফেট্টি, আমরা গো-চোনা , আমাদের গো-মাতা, আমাদের হিন্দুইজম, আমাদের 
রাম রাজত্ব,  আমাদের রাজনীতি, আমাদের অর্থনীতি , আমাদের সমাজনীতি , আমাদের সমাজ, 
আমাদের রাষ্ট্র,  আমাদের প্রশাসন,  আমাদের ধর্ম, 
আমাদের আওয়াজ,  আমাদের পুলিশ, আমাদের মন্দির, আমাদের আচ্ছে দিন, আমাদের মিত্রোঁওও, আমাদের অববাহিকা , আমাদের বর্ডার,  আমাদের ক্ষমতা, আমাদের চাঁদা,  আমাদের নোট বাতিল, আমাদের দাঙ্গা, আমাদের কার্ফু, আমাদের  ফ্যাসিজম,  আমাদের সিলেবাস,  আমাদের  সিদ্ধান্ত । আমরা , আমি, আমাদের। তোমরা , তুমি , তোমাদের । আর এই সূত্রে আমাদের শিরায় , ধমনীতে , স্নায়ুতে ,  একটু একটু করে স্লোপয়জেনে ঢুকে পড়েছে আর এক হীরক রাজার তরবারি ( History repeats but in another form ) ,  আর আমরা নীরবে হনুমান চল্লিশা পাঠ করি। এও আদতে এক জাহান্নাম। এক
হেজে যাওয়া, পচে যাওয়া, নষ্ট সময়ের নির্লজ্জ আদিখ্যেতা । প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের এক শ্লোকনন্দিত গান বা ব্যালাডের পুরাণগত , mythological impact যা কিনা মহাকাব্যের ঢঙে, আদিকবিতার স্রোতস্বিনী নদীর জল বুকে ধরে রাখা এক সরোবর বিশেষ, যা দিনগত পাপক্ষয়ে রাঘব রাম থেকে নাগরিক রঘু ডাকাতে পরিণত হয়েছে, তার জন্য দায়ী কে?  আমাদের মূল্যবোধ, ঔচিত্যবোধ, ন্যায়নীতি, সম্ভাবনার হাজার দরজা দুয়ারে খিল তুলে মিথ্যার অন্ধকারে মুখ ঢেকেছে । সেই অন্ধকারে ভূতের কোরাস জেগে থাকে । ভালবাসার জন্য নেই কোনো ছাড়পত্র । মূল্যবোধ কেবলই সিন্ধুপারের চাঁদ  আর বিষণ্ণ,  বিষাদরাত্রি হয়ে যায়। তার কেবলই মন খারাপের গল্প । এই আমাদের দেশ ভারতবর্ষ । রক্ষণশীল রক্তক্ষরণ আমাদের সমস্ত স্নায়ুকে দিয়েছে
বিচ্ছেদের আয়ু। আর আমরা ক্রমশ পিছনে হাঁটছি আর হাঁটছি। তাসখন্দ থেকে মগধ , কিস্কিন্ধা থেকে গুজরাট, দিল্লি থেকে কলকাতা আমরা কেবলই পিছনে হাঁটছি। রাম আজ এক জলজ্যান্ত তাসের দেশ । একটা তীব্র ত্রাস , যার উন্মুক্ত তীরের ফলা আমাদেরই দিকে তাক করা। যেকোনো মুহূর্তে জ্বলে উঠবার প্রবল সম্ভাবনা । রাম শব্দের প্রথম অর্থ কি তবে ঘনিয়ে আসে। রাত্রিবেলার মতো তমসাচ্ছন্ন তার বিবর্ণ মুখ। বিবর্ণ নাকি অত্যাচারি এক শাসক। রাম আজ বিজ্ঞাপনের হার্ডডিস্ক । যেকোন মুহূর্তে আপনার আর আমার ড্রয়িঃ রুমের মধ্যে,  রান্না ঘরে,  স্নান ঘরে  , মায় বেডরুমে এসে পরেছে ন্যয়নীতির দাদাঠাকুর । গেরুয়া রঙ ধরাবেই। আমাদের সমস্ত অন্তর্বর্তী অনুভূতিমালাকে ডিজিটাল ছাঁচে ফেলে গড়ে নিতে চাইছে নিজশ্ব গেরুয়া  বলয়। রামচন্দ্রের কোনও আধার কার্ড নেই, তবু তাকে কখনও বোড়ে , কখনও আড়াই দান নৌকা হতে হয়। শতাব্দীর মন খারাপের রঙ রুট ধরে হাঁটতে হাঁটতে রামচন্দ্র আজ ডার্ক সার্কলে এসে পরেছে। রাম শব্দের অর্থ আমরা জেনেছি আগেই । আনন্দ নয়, উল্লাস নয় , ভয় প্রদানকারী এক অলৌকিক সিল্যুয়েটে রূপান্তরিত হয়েছেন তিনি । হয়ত তার স্রষ্টার মতোই, তবে সামনের দিক থেকে পিছনের দিকে । সৃষ্টি থেকে ধবংস, নির্মাণ থেকে হত্যার দিকে , সরোবর থেকে আগুনের দিকে হেঁটে চলেছেন তিনি । আদি কবির প্রথম শ্লোকটি,  এশিয়া ভূখণ্ডের প্রথম কবিতাটি 
লেখা হয়েছিল নির্মম এক হত্যার বিরুদ্ধে । তীর আর তুণীরের বিরুদ্ধে,  হত্যাকারী আর আততায়ীর মধ্যে একটা সরল ছবি । আজকের রাম আত্মঘাতী মূলত । 
তবে এই মুহূর্তে তিনি পরিত্রাণে নেই, আছে ত্রাসে।

1 comment:

  1. বাল্মীকির আশ্রমে সীতা আশ্রিতা ছিলেন । বিশ্বামিত্র মুনি নয়। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখিত, ক্ষমাপ্রার্থী ।

    ReplyDelete

দেবমাল্য চক্রবর্তী

মা নিষাদ   ‘শয়তান, তুই নরকে যাবি পাপ-পুণ্যের জ্ঞান নেই তোর, শয়তান, তুই নির্ঘাৎ নরকে যাবি অভিশাপ দিচ্ছি তোকে, তুই নরকে যাবি’ দস্য...

ক্লিক করুন। পড়ান।