থাবা
জানলা খোলা রাখলেই
চকোয়াখেতির
রাস্তা
রাত্রির এক নিজস্ব
নির্জনতা থাকে
কী কী দৃশ্য দ্যাখো
তুমি!
দুরপাল্লার বাস এসে
থামে
তারপর জোড়া বাঘের
থাবা
উৎসব
নাচগান তো
ঘুরেঘুরেই হয়।বাজনা তো খোলামাঠেই
বাজে।দেখা যাচ্ছে
কন্ঠার হাড়।গন্ধে গন্ধে ভরে ওঠা
পথ
আবির উড়বে খুব
বৈশাখী মেলায়।
কুঠিবাড়ি
এত যে পরিখা
ছিল!পরিধী নির্দিষ্ট জেনেই
গীদালেরা গান
ধরে।পালকে ভরা বাসা।
আদুরে বেড়ালেরা
দ্রুত ছুটে আসে।তখন
বাঁশি ও বাদ্যে
ঋতুবদল!শিলাইদহ দাঁড়িয়ে
থাকে আর
কুঠিবাড়ির দিকে পদ্মার হু হু
বাতাস
গসপেল
চাঁদের আলোয়
পেঁয়াজখেত।গসপেল থেকে
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে
তোমাকে তুলে আনি
হাজার হাজার
চা-চক্র আমাদের
সাঁতার জানি।তবু
ভয়,ডুবে যাবো না
তো
বৃত্তান্ত
বৃত্তান্তে যাবো
না বরং গন্তব্যে
পৌঁছই
ফের নীরবতা।
উনুনে গুঁজে দেব
টুপি
শিরোনামহীন
সর্ষেবনে বিকেল
ডুবছে আর আমি বিকেলের
দিকেই
হাঁটতে থাকি।যেন
বা স্তব্ধতা,বাঁশির শব্দ!
কান্নাকে
প্রতিরোধ করি,শরীরে হলুদ মাখি
আয়নার পাশে
নখ,লিখি নখদর্পণ
হরিণশাবকের জন্য
সরলবর্গীয়
বৃক্ষের পাশে যে প্যাঁচা রাতপাখিতে
বদলে যায়;আমরা কি
তার বিড়ম্বনাটুকু বুঝতে
পারি!আকাশের মেঘ
ছায়া ঢালে।মৃদু কাশির
শব্দেও ঘোর কাটে না।উঠোনের
রোদে কখন
কিভাবে
হরিণশাবক!
দোলাচল
লম্বা লম্বা
রাস্তাগুলি।মাইল মাইল গানগুলি।
খাল ও বিল নিয়ে
জীবন কাটিয়ে দেওয়া।
হসন্তের ব্যবহার
কমে গেলেও দোলাচল
থাকে না
কোন।নদীতে শীত
ও
পেখম । চাঁদ ডুবে
যায়।
No comments:
Post a Comment