রাম না হতেই রামায়ণ
এগজ্যাক্টলি!মহাকাব্য অনেকখানি সময়ের আলোবাতাস,পুজোপাঠ,ধর্ম,নরনারী, যুদ্ধ,হিংস্রতা,প্রেম,যৌনতা সব,সবকিছু শুষে নিয়ে পরিপুষ্ট হতে থাকে।চরিত্র ঘনায়।আমরা অজান্তেই সেখানে দেবত্ব পরাই। রাক্ষস আঁকি।বিশ্বাস করতে ভালোবাসি যে প্রিন্টেড সার্কিটের মতো,চরিত্রগুলি পাতাই ছিল আগে থেকে ,তাই সৃজন করেছেন যিনি তিনি ভাবনা বসানো মাত্র আলো জ্বলে উঠেছে।অলৌকিকতা বড় ঘরের জিনিস আমাদের।তাই রামমন্দির,তাই অশোককানন,তাই অযোধ্যা কিংবা রাবণবধ!এপিক আমাদের জীবন ও মৃত্যু এই দুয়েরই আশ্রয় ও মুক্তিপথ।
আমাদের কল্পলতা এতটাই আকাশমুখি,যে,রাম তাঁর সাহিত্যের সিংহাসন ছেড়ে সোজা নেমে এসে মন্দিরের সিংহাসনে বসে গেছেন।
ভালো কি মন্দ জানি না,তবে এটাও ঘটনা যে মহাভারতের কোনও কেন্দ্রীয় চরিত্র কিন্তু এভাবে কখনও সমাজের অন্দরমহলে জাঁকিয়ে বসতে পারেনি।আধুনিক,উত্তর-আধুনিক গদ্যে ,কবিতায় পুনর্নির্মাণ,বিনির্মাণ,অনেক সমান্তরাল লেখাপত্রই তৈরি হয়েছে রামচরিত্র ঘিরে-ঘিরে।
যে বা যাঁরা রামায়ণ রচনা করেছেন,সুরে,ছন্দে,বিভিন্ন ভাষায়,মনে-মনে তাঁদের জন্য সোনার কলম গড়িয়ে রাখি আমি।শুধু,রাম একজন রক্তমাংসের মানুষ কিংবা ঈশ্বর,এ-কথা মরে গেলেও বিশ্বাস করি না।
অল্পে বলা দামী কথা!
ReplyDelete